ads

আশুরা উপলক্ষে করনীয় আমলসমূহ 10 Actions to be performed on the occasion of Ashura


আশুরা উপলক্ষে করনীয় আমলসমূহ



মুহার্রম মাসের ১০ম তারিখকেআশুরাবলা হয় আশুরা উপলক্ষে সর্বমোট ৪টি আমল করার রয়েছে

১০ই মুহাররম তারিখে নফল রোযা রাখা মোস্তাহাব এর দ্বারা পিছনের এক বৎসরের গুনাহ মাফ হয় এই রোযা রাখলে ১০ তারিখের সঙ্গে তারিখ মিলিয়ে মোট ২টি রোযা রাখবে বা ১১ তারিখ বাদে শুধু ১০ই মুহাররমের রোযা (অর্থাৎ, শুধু ১টি রোযা রাখা) মাকরূহ তানযীহী আশুরার দিন কাযা রোযা রাখা দ্বারা আশুরার রোযার ফিযীলত অর্জিত হবে না
আশুরায় পরিবার-পরিজনকে উত্তম পানাহারের ব্যবস্থা করলে আল্লাহ তাআলা সারা বৎসর উত্তম পানাহারের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে হাদীছে উল্লেখ এসেছে হাদীছটি অনেকের মতে আমলযোগ্য র্যায়ের আবার অনেকের মতে আমলযোগ্য পর্যায়ের নয় তাই এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়, এটাকে রছমে করাও ঠিক নয়
  আশুরার দিনে আল্লাহ তাআলা ফেরআউনের বাহিনীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে এবং বানী ইসরাঈলকে তাঁর কুদরতে সমুদ্র পার হওয়ার তওফীক দিয়ে একটা বড় নিয়ামাত দান করেছিলেন প্রক্ষান্তরে এটা আমাদের জন্যও নিয়ামাত তাই এই নিয়ামাতের কথা স্মরণ করে আল্লাহ্র শোকর আদায় করা যায় এই দিনে আল্লাহ তাআলা আরও বহু কিছু ঘটিয়েছেন, বগু কিছু পয়দা করেছেন বলে যেসব বর্ণনা পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ভিত্তিহীন বা মাউযূ
  এই দিনে কারবালায় হযরত হুসাইন (রা.) মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন- এই দুঃখ মুছীবতের কথা স্বরণ হলে ইন্না লিল্লাহি ওয়া্ ইন্না ইলাইহি রজিউন পড়া যায়
    * উল্লেখ্য, এই আশুরার দিনে উপরোক্ত ৪টি আমল ব্যতীত আর যা কিছু করা হয়ে থাকে যেমন: খিচুড়ি সণ্টন, শরবত পান করানো, তাযিয়া বের করা, বুক চাপড়ানো, হায় হোসেন বলে মাতম করা, শোক মিছিল করা ইত্যাদি-
আর এগুলো সব হলো ভিত্তিহীন- রছম বিদআত, এগুলো গুনাহের কাজ, তই এগুলো অবশ্যই পরিত্যাজ্য

আহকামে যিন্দেগী


Post a Comment

0 Comments