ads

সংক্রামন ব্যাধি করোনা ভাইরাস ও আমাদের করনিয়


সংক্রামন ব্যাধি করোনা  ভাইরাস ও আমাদের করনিয়

করোনাভাইরাসে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। বিশ্বের ১৭৩টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে মরণব্যাধি করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার এর ও বেশি । এ রোগে মারা গেছে প্রায় ১০ হাজার নতুন নতুন সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে বিশ্বনবির উপদেশ ও দোয়া গ্রহণ করা আবশ্যক।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কোনা জাতির মধ্যে অশ্লীলতা-বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়বে তখন তাদের মধ্যে এমন এমন নতুন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে, যা ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি।’ (ইবনে মাজাহ)
তাই করোনাসহ নতুন নতুন সংক্রামক রোগ-ব্যাধি ও মহামারী দেখা দিলে তা থেকে আশ্রয় লাভে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা এবং ধৈর্যধারণ করার নসিহত করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বিশেষ দোয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলেছেন তিনি। আর তাহলো
اَللّٰھُمَّ إِنّیْ أَعُوْذُ بِکَ مِنَ الْبَرَصِ،
 وَالْجُنُوْنِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَیِّءِ الْأَسْقَامِ ۔
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট ধুর্বল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনা সহ সব ধরনের কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই
প্রত্যেক সকাল সন্ধ্যায় নিম্নের দুআটি পাঠ করা
নবী কারীম . এরশাদ করেন, যেই ব্যাক্তি এই দু প্রত্যেক সকাল সন্ধ্যায় বার করে পাঠ করে কোন বস্তুই তাহার অনিষ্ট করতে পারবে না অন্য এক হাদীসমতে প্রত্যেক সকালে পাঠ করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত আকস্মিক কোন বিপদ তাহাকে স্পর্শ করবে না
بِسْمِ اللہِ الَّذِیْ لَایَضُرُّ مَعَ اسْمِہٖ شَیْئٌ فِیْ الْاَرْضِ وَلَا فِیْ السَّمَاءِ وَھُوَالسَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ ۔
অর্থঃ আমি আল্লাহর নামে আরম্ভ করিতেছি যাঁহার নাম লইয়া শুরু করলে আসমান জমীনে কোন বস্তুই অনিষ্ট করতে পারে না এবং তিনি সব কিছু শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী

 রোগী দেখতে গেলে রুগীর শরীরে ডান হাত রাখিয়া নিম্নের দুআটি পাঠ করা 
اَللّٰھُمَّ اَذْھِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ اِشْفِہٖ وَاَنْتَ الشَّافِیْ لَاشِفَاءُکَ شِفَاءٌ لَّایُغَادِرُ سُقْمَا ۔
অর্থঃ হে মানবজাতির প্রভু! এই রোগকে দূরীভূত করুন আরোগ্য দান করুন, কারণ আপনিই শেফা প্রদানকারী, আপনার আরোগ্য ব্যতীত কোন চিকিৎসা নাই, এমন আরোগ্য যাহাতে কোন প্রকার রোগই বাকী না থাকে
চিন্তাযুক্ত হইলে নিম্নর দুআটি পাঠ করা
হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি প্রত্তেক সন্ধ্যায়ে এই দু পাঠ করিবে আল্লাহ তাআলা তাহার চিন্তা দূর করিয়া দিবেন তাহার ঋণ পরিশোধ করাইয়া দিবেন
اَللّٰھُمَّ اِنِّیْ اَعُوْذُبِکَ مِنَ الْھَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُبِکَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْکَسْلِ وَاَعُوْذُبِکَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَاَعُوْذُبِکَ مِنْ غَلَبَۃِ الدَّیْنِ وَقَھْرِ الرِّجَالَ ۔
অর্থঃ আয় আল্লাহ! আমি চিন্তা পেরেশানী হইতে আপনার আশ্রয় চাইতেছি অক্ষমতা অলসতা হইতে আপনার পানাহ চাইতেছি কৃপণতা ভীরুতা হইতে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করতেছি এবং কর্জের চাপ মানুষের প্রবলতা হইতে আশ্রয় চাইতেছি
সংক্রামক ব্যাধিতে আমাদের করণীয়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কোনো এলাকায় মহামারি (সংক্রামক ব্যাধি) ছড়িয়ে পড়ে তখন যদি তোমরা সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বের হবে না। আর যদি তোমরা বাইরে থাকো তাহলে তোমরা সেই আক্রান্ত এলাকায় যাবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিসের নির্দেশনা অনুসারে মানুষের অবাধ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকা খুবই জরুরি। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এ নির্দেশের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ওলামায়ে কেরাম। তারা বলেছেন-
* ‘
যদি মহামারি আক্রান্ত এলাকার লোকজন পলায়ন করে অন্যত্র চলে যায় তবে যেসব লোক মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের সেবা-শুশ্রূষা কে করবেন?
*
সম্পদশালী ব্যক্তিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গরিব অসহায় ব্যক্তিরা তো পালাতে সক্ষম হবে না।
*
যদি কেউ মনে করে যে, তাকে এ ভাইরাস বা রোগে এখনও আক্রমণ করেনি, তাই সে পালিয়ে যাবে। যদি ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে যায়, তবে সে যে এলাকায় যাবে সে এলাকার মানুষও তার মাধ্যমে সংক্রমিত হবে।
*
আবার অন্য এলাকা থেকে যদি কোনো সুস্থ মানুষ আক্রান্ত এলাকায় আসে তবে সেও এ ভাইরাস বা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
আল্লাহ তাআলা সব মানুষকে করোনাসহ সব ধরনের মহামারি ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

0 Comments